মালদ্বীপের প্রত্যন্ত ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ বিশ্বের প্রথম ভাসমান শহর তৈরি করছে, যা একটি প্রবাল প্রাচীরের মতো মানুষের মস্তিষ্কের মতো চেহারার আদলে তৈরি।
মালদ্বীপের এই ভাসমান শহরগুলি ভারতের মুল ভূখণ্ড থেকে প্রায় ৫০০ মাইল দূরে অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির তীব্র বাস্তবতার এটি একটি টেকসই সমাধান৷
ডাচদের সহায়তায় সমুদ্রের উপর ৫০০ একর এলাকা নিয়ে গড়ে উঠবে এই হাউজিং কমপ্লেক্স। মোট ৫০০০ রঙবেরঙের বাড়ি নিয়ে তৈরি হবে এই হাউজিং কমপ্লেক্স।
মালদ্বীপের রাজধানী মালে এবং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১০ মিনিটের নৌকাবিহারে পৌঁছে যাওয়া যাবে এই নতুন ভাসমান শহরে। এখানে তারা হোটেল, বাড়ি, দোকান এবং রেস্তোঁরার সুবিধা পাবেন।
নব নির্মিত এই ভাসমান শহরে কোনও গাড়ি থাকবে না, তবে লোকেরা সাদা-বালির রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে, সাইকেল বা বৈদ্যুতিক buggies এবং স্কুটারে ঘুরে বেড়াতে পারবেন।
সম্পূর্ণ শহরের নকশাটিতে রাস্তা এবং জলের খালগুলি একটি প্রকৃতি-ভিত্তিক কাঠামো দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছে যা খুবই দৃষ্টি নান্দনিক এবং এটি অনেকটা মানব মস্তিষ্কের ন্যায় দেখতে।
মালদ্বীপের অর্থনীতির অনেকাংশ নির্ভর করে পর্যটন শিল্পের উপর।গত দুই বছর কোভিড মহামারীর ফলে বিশেষ ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় মালদ্বীপের পর্যটন শিল্প।
মালদ্বীপ নিজেই ১১৯২ টি প্রবাল দ্বীপ নিয়ে গঠিত, এর মধ্যে ২৬ টি প্রবালপ্রাচীর একত্রে দুটি শৃঙ্খল তৈরি করেছে, এবং ভাসমান শহরটি এই প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্রকে সংরক্ষণ এবং উন্নত করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে।
ডাচ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি ডাচ ডকল্যান্ডস মালদ্বীপ সরকারের সাথে অংশীদারিত্বে নেদারল্যান্ডসের ভাসমান শহরের প্রযুক্তি মালদ্বীপে নিয়ে আসবে এবং প্রথম মডুলার হাউজিং ব্লক তৈরি করবে।
শহরটি একটি মডুলার ফ্যাশনে নির্মিত হবে, যার নির্মাণ কাজ ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে শুরু হবে এবং পাঁচ বছরের মধ্যে শহরটি সম্পূর্ণ করার লক্ষ্য মাত্রা রাখা হয়েছে।