পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয় গত ২৫ জুন, আর যান চলাচল শুরু হয়েছিল পরদিন ২৬ জুন। ২৪ জুলাই পর্যন্ত ২৮ দিনে প্রায় ৭৫ কোটি টাকা টোল আদায় হয়েছে এ সেতু থেকে।
এ সময়ে সেতুতে ৬ লাখ ৪ হাজার ৯৩৮টি যানবাহন চলাচল করেছে। এর মধ্যে মাওয়া টোল প্লাজা ব্যবহার করে ৩ লাখ ৩ হাজার ৯৮৯টি গাড়ি সেতু পার হয়েছে।
আর জাজিরা টোল প্লাজা ব্যবহার করে সেতু পার হয়েছে ৩ লাখ ৯৪৯টি গাড়ি। মাওয়া টোল প্লাজায় আদায় হয়েছে প্রায় ৩৮ কোটি টাকা ও জাজিরা টোল প্লাজায় আদায় হয়েছে প্রায় ৩৭ কোটি টাকা।
পদ্মা সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের দুটি টোল প্লাজা চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে আধুনিকরণের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে।
নিয়মিত চলাচলকারী যানবাহনগুলোতে যুক্ত করা হবে স্টিকার এবং চালকদের প্রিপেইড কার্ড সরবরাহ করা হবে। এর ফলে গাড়িগুলোকে সেতুর টোল প্লাজায় এসে আর থামতে হবে না।
সোমবার পদ্মা সেতু জাজিরা টোল প্লাজার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবুল হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'সেতুতে চলাচলকারী নিয়মিত গাড়িগুলোতে স্টিকার লাগানো হবে।
স্টিকারযুক্ত গাড়ি টোল প্লাজায় এলে সেটি যন্ত্রের মাধ্যমে স্ক্যান করে টোলের টাকা কেটে নেবে। ব্যাংকের সঙ্গে এ টাকা কেটে নেওয়ার প্রযুক্তির সংযোগ থাকবে।'
'সাধারণ এ রুটের বাসসহ যাত্রীবাহী গাড়িগুলো এ পদ্ধতির আওতায় আসতে পারে,' বলেন তিনি। তিনি আরও জানান, গাড়ির জন্য প্রিপেইড কার্ড সরবরাহ করা হবে।
গাড়ি চালকরা এ কার্ডে টাকা রিচার্জ করে রাখবেন। সেতুতে প্রবেশের আগে মেশিনে কার্ড স্ক্যান করলে নির্ধারিত টোল পরিশোধ হয়ে যাবে।
দুই প্রান্তের টোল বুথেই এ সুবিধা থাকবে বলে জানান তিনি। 'এছাড়া নগদ টাকা দিয়ে টোল পরিশোধের সুবিধা তো থাকছেই,' বলেন তিনি।