নির্মাণ কার্যের শুরুতে নানা কারণে দেশে-বিদেশে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল পদ্মাসেতু। আর এই সেতুটি এরইমধ্যে অনেকগুলো বিশ্ব রেকর্ড করে ফেলেছে।
পদ্মাসেতু প্রকল্প পরিচালক সফিকুল ইসলাম বলেন, “এত খড়স্রোতা, নদী যেখানে ১ লাখ ৪০ হাজার কিউবিক মিটার প্রতি সেকেন্ডে পানি যায় এরকম নদীতে ব্রিজ করা হয় না।
পাইল বসাতে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ১৯০০ থেকে ৩৫০০ কিলোজুল ক্ষমতা সম্পন্ন হাইড্রোলিক হ্যামার ব্যবহৃত হয়েছে।
রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পও অনায়াশেই সহ্য করার ‘ফ্রিকশন পেন্ডুলাম বিয়ারিং’ ব্যবহার হয়েছে পদ্মায়।
দ্বি-তল পদ্মা সেতুর উপরের সড়ক কংক্রিটের ঢালাই। নিচের স্প্যান হলো স্টিল মেগা স্ট্র্যাকচার। এক সেতুতে কংক্রিট ও স্টিল- দুইয়ের ব্যবহার সাধারণত একসাথে দেখা যায় না।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রেনের ব্যবহার হয়েছে সেতুর স্প্যানগুলো বসাতে। ইতিমধ্যে ১২০ থেকে ১২৭ মিটার গভীর পাইলিং এর বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে পদ্মা সেতু।
মূল সেতু ও সংযোগ সড়ক নির্মাণে রডের ব্যবহার হয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার টন। এক টন রড যদি লম্বালম্বি রাখা হয়, তাহলে পদ্মা সেতুতে ব্যবহৃত রডের মোট দৈর্ঘ্য দাঁড়াবে ১ হাজার ২৯৬ কিলোমিটার।
এই সেতুর পিলার নির্মাণে ব্যাবহার করা হয়েছে সব থেকে দামি ‘মাইক্রো ফাইন’ নামক এক বিশেষ প্রকারের সিমেন্ট।
পদ্মায় মূল সেতু, নদী শাসন ও সংযোগ সড়কের নির্মাণ কাজে মোট বালু ব্যবহার করা হয়েছে প্রায় ৬৫ লাখ ঘনমিটার, যা দিয়ে ১৯ কোটি ১২ লাখ ৮৭ হাজার বর্গফুট আয়তনের ভবন তৈরি করা যাবে।