বাংলাদেশ এবং নেপালের পর এবার ট্রেনে করে ভুটানেও যাওয়া যাবে, পাহাড়ি পথে এ বার রেলের ব্রডগেজ লাইন পাতার কাজ শুরু হতে চলেছে।
ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল এবং ভুটান এই ৪টি দেশ এবার আন্তর্জাতিক সড়ক যোগাযোগের পর আন্তর্জাতিক রেল যোগাযোগ গড়ে তোলার বিষয়েও একমত হয়েছে।
বাংলাদেশের বিদেশ সচিব শাহিদুল হক নয়াদিল্লিতে জানান , শীঘ্রই চার দেশ পরস্পরের সঙ্গে রেলপথে যুক্ত হওয়ার লক্ষ্যে কাজ শুরু করবে।
২০০৫ সালে ভুটান এবং ভারতের রেল যোগাযোগের চুক্তি অনুযায়ী মোট পাঁচটি রুটে ভারত-ভুটান ট্রেন চালানোর কথা ভাবা হয়েছিল।
তবে, এখনই ৪টে রুটে ট্রেন চালানোর পরিবর্তে কেবল মাত্র একটি রুটেই ভুটান এবং ভারতের মধ্যে ট্রেন চালুর কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
ভারতের যে অংশে এই ব্রডগেজ রেল লাইন পাতা হবে সেটা আসামের সমতল অংশে অবস্থিত কিন্তু ভুটানের অংশের বেশিটাই পাহাড়ি এলাকা।
এই কাজের জন্য আপাতত এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রেল। জানা গিয়েছে গোটা পথেই ব্রডগেজ রেল পাতা হবে।
অসমের কোকড়াঝাড় থেকে ভুটানের গেলেফু পর্যন্ত ৫৭.৫ কিলোমিটার লাইন পাতার কাজ খুব তাড়াতাড়িই শুরু হতে পারে।
সরকারি সুত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই উত্তর-পূর্ব ফ্রন্টিয়ার রেলকে প্রাথমিক সমীক্ষার কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে।
২০১৪ সালে নেপালে অনুষ্ঠিত সার্ক সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সার্ক অন্তর্ভুক্ত ৮টি দেশের মধ্যে অবিচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ গড়ে তোলার প্রস্তাব দেন।
চার দেশের মধ্যে সড়কের পাশাপাশি এই রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠলে চার দেশের মধ্যে পণ্য পরিবহণ আরও সহজতর হবে।
ভুটান বা নেপাল যদি সমুদ্রপথে কোনও পণ্য আমদানি করতে চায়, তাহলে সেই পণ্যবাহী জাহাজ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছলেই কাজ মিটে যাবে।
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্যবাহী জাহাজে আগত পণ্য ট্রেনে করে খুবই সহজে ভারত হয়ে নেপাল বা ভুটানে পৌঁছে যাবে।