আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে ডায়েট হোক বা ওয়ার্কআউট ভারসাম্য রাখা খুবই জরুরী , ভারসাম্য হল পরিপূর্ণতার চাবিকাঠি।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে যে একজন ব্যক্তির শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষমতাও দীর্ঘায়ুর ইঙ্গিত হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে কে কতটা সুস্থ বা কতদিন বাঁচার সম্ভাবনা রয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য একটি ভারসাম্য পরীক্ষাও রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ফিনল্যান্ড এবং ব্রাজিলের বিশেষজ্ঞদের একটি দল 12-বছর ধরে এটির উপরে গবেষণা চালিয়ে আসছিলেন।
রিও ডি জেনেইরোতে ক্লিনিমেক্স ব্যায়াম মেডিসিন ক্লিনিকের ডাঃ ক্লাউদিও গিল আরাউজোর নেতৃত্বে গবেষকরা পরামর্শ দেন যে বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ভারসাম্য পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
এই ভারসাম্য পরীক্ষা অধ্যয়ন করা হয় ৫১ থেকে ৭৫ বছর বয়সী মোট ১৭০২ জনের উপর এবং ২০০৮ থেকে ২০২০ সাল , মোট ১২ বছর এই পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হয়।
কিভাবে করবেন এই ভারসাম্য পরীক্ষা? খালি পায়ে এক পায়ে দাঁড়িয়ে অপর পা টি পিছনের দিকে শূন্যে তুলে হাতদুটি লম্বা করে সামনের দিকে সটান করে ১০ সেকেন্ড দাঁড়িয়ে থাকতে হবে কোনো কিছুর সাহায্য ছাড়াও।
গবেষণায় দেখা গেছে, এই পরীক্ষায় প্রতি ৫ জনের মধ্যে ১ জন ব্যর্থ হয়েছেন, অর্থাৎ ২০% মানুষ ভারসাম্য পরীক্ষায় ব্যর্থ ; উপরন্তু, ৫১ থেকে ......
৫৫ বছর বয়সীদের মধ্যে ৫ শতাংশ এবুং ৭১ থেকে ৭৫ বছর বয়সীদের মধ্যে ৫৪ শতাংশ এই ভারসাম্য পরীক্ষায় ভারসাম্য বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।
ব্রিটিশ জার্নাল অফ স্পোর্টস মেডিসিনে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশেষজ্ঞরা বছরের পর বছর অংশগ্রহণকারীদের ট্র্যাক করেন এবং সাত.....
বছর পরীক্ষা করার পরে, তারা আবিষ্কার করেন যে ৭ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মারা গেছে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ১৭.৫ শতাংশ এই পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়।
এই পরীক্ষার মাধ্যমে বিশেষজ্ঞরা এই উপসংহারে উপনীত হয়েছেন যে ১০ সেকেন্ডের জন্য এক পায়ে দাঁড়ানোর অক্ষমতা তাড়াতাড়ি মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় প্রায় ৮৪ শতাংশ।