ভারতের মতো দেশে যেখানে এখনও বিপুল সংখ্যক মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করে সেখানে রেশন ব্যবস্থা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যবস্থা। 

এই রেশন ব্যবস্থার ফলে দেশের কোটি কোটি মানুষের অন্য সংস্থান হয়ে থাকে। করোনাকালে যখন দেশের বড় অংশের মানুষ রোজগার হারিয়েছিলেন সেই সময় এই রেশন ব্যবস্থা আলাদাভাবে গুরুত্ব পায়।

করোনাকালে কেন্দ্র এবং রাজ্যর তরফ থেকে বিনামূল্যে রেশন সামগ্রী দেওয়ার ঘোষণা করা হয়। বিনামূল্যে এ রেশন সামগ্রী যাওয়ার ফলে দেশের দুঃস্থ দরিদ্র মানুষেরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। 

এবার এই দুষ্ট দরিদ্র মানুষদের কথা মাথায় রেখে আরও একটি বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। কেন্দ্রের এই বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রেশনে দেওয়া চালের ক্ষেত্রে।

মিড ডে মিলের খাবারে যে চাল রান্না করা হয় এবার রেশন থেকে সেই ধরনের চাল মিলবে। অর্থাৎ কেন্দ্রের ঘোষণা অনুযায়ী এবার রেশনে ফর্টিফায়েড চাল দেওয়া হবে ।

কি এই ফর্টিফায়েড চাল? এই ধরণের চাল বিশেষ পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হয় কারণ চালে কৃত্রিম উপায়ে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট যোগ করা হয়।

এই ফর্টিফায়েড রাইসে বা চালে নিয়মিত মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট যোগ করার জন্য বিভিন্ন প্রযুক্তি যেমন কোটিং, ডাস্টিং এবং 'এক্সট্রুশন' ইতাদি ব্যাবহার করা হয়।

১ কেজি ফর্টিফায়েড রাইসে কি কি মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট বা পুষ্টি মৌল পাওয়া যাবে? ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (FSSAI) নিয়ম .....

অনুসারে, ১ কেজি ফর্টিফায়েড চালে, ২৮ থেকে ৪২.৫ মিলিগ্রাম আয়রন , ৭২ থেকে ১২৫ মাইক্রোগ্রাম ফলিক অ্যাসিড, এবং ০.৭৫ থেকে ১.২৫ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন বি-১২।

এছাড়া, ১০ থেকে ১৫ মিলিগ্রাম জিঙ্ক, ৫০০ থেকে ৭৫০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন A , ভিটামিন B1, ভিটামিন B2, ভিটামিন  B3 এবং ভিটামিন B6 ইতাদি পাওয়া যাবে।

আগামী বছরের শুরুর দিক থেকেই এই চাল দেওয়া শুরু করবে কেন্দ্র সরকার। তবে এই বিশেষ ধরনের চাল সবাই পাবেন না বলেও জানা যাচ্ছে।

কেন্দ্র সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জানা যাচ্ছে এই বিশেষ ধরনের পুষ্টিকর চাল পাবেন শুধুমাত্র অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনা, অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ও বিশেষ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত পরিবারের গ্রাহকরা।