কোভিডকাল থেকেই "ওয়ার্ক ফ্রম হোম" এই শব্দবন্ধের সাথে ইতিমধ্যেই আমরা পরিচিত হয়েছি। নিউ নর্মাল লাইফের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যেন জড়িয়ে গিয়েছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম কথাটি।
বাণিজ্য মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, কোভিড কালে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে বাড়ি থেকে কাজ করার আবেদন। ফলে বিষয়টি নিয়ে একটি নির্দিষ্ট নীতি প্রণয়নের দাবি জানাচ্ছিল বিভিন্ন সংস্থা।
সেই দাবির কথা মাথায় রেখেই ২০০৬ এর স্পেশাল ইকোনমিকস রুল-এ ৪৩-এর এ ধারায় সারা দেশের এসইজেডগুলির (SEZ) জন্য এই নীতি প্রবর্তন করে কেন্দ্র।
সরকারের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে নতুন এই নিয়মে শুধু স্থায়ী কর্মচারীরাই নন, ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ করতে পারবেন চুক্তিভিত্তিক কর্মীরাও।
পাশাপাশি যে কর্মচারীরা শারীরিক ভাবে অক্ষম কিংবা ভ্রাম্যমান তাঁদেরও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যাবে বলে জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়।
SEZ বা স্পেশাল ইকোনমিক জোনের ক্ষেত্রে কী হতে চলেছে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের নিয়ম?
১) স্পেশাল ইকোনমিক জোনে ওয়ার্ক ফ্রম হোম সর্বোচ্চ এক বছর সময়কালের জন্য দেওয়া যাবে।
এক বছরের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হলেও, ভবিষ্যতে বিশেষ অনুমতির ভিত্তিতে তা বাড়ানো যাবে।
২) সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ কর্মী পাবেন ওয়ার্ক ফ্রম হোম।
৩) নতুন নিয়ম প্রযোজ্য হবে আইটি, আইটিএস কর্মীদের জন্য। যাঁরা কোনও জার্নি করছেন, তাঁদের জন্য। যাঁরা অফসাইটে কাজ করছেন তাঁদের জন্য। আর যাঁদের শারীরিক কোনও অসুবিধা রয়েছে।
৪) কোনও সুনির্দিষ্ট কারণে ৫০ শতাংশের বেশি কর্মীর ওয়ার্ক ফ্রম হোম অনুমোদনের প্রয়োজন পড়লে, তা দেখে নেবেন SEZ-এর ডেভেলপমেন্ট কমিশনার। লিখিত কারণের ভিত্তিতে তিনি তা অনুমোজন করতে পারবেন।
৫) নতুন এই নিয়মে বলা হয়েছে যে, যেসব কর্মীরা ওয়ার্ক ফ্রম হোমেই আছেন, ৯০ দিনের মধ্যে তাদের অনুমোদন নিতে হবে।
৬) ওয়ার্ক ফ্রম হোমে থাকা কর্মীকে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত সাহায্য, ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট সংযোগ দিতে হবে SEZ ইউনিটকেই।