অলিম্পিক্স বা কমনওয়েলথের মতো গেমসগুলি প্রতি চারবছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয়। অর্থাৎ এই খেলাতে পদক জেতার জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয় এবং সেই সময় পর্যন্ত অনুশীলন জারী রাখতে হয়।
এই সমস্ত আন্তর্জাতিক খেলা গুলিতে সোনা, রুপো বা ব্রোঞ্জ পদক জেতার মধ্যে দিয়ে বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রমের ফল পেয়ে থাকেন অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা।
সোনা, রুপো ও ব্রোঞ্জ এই তিনটি পদক ইভেন্টের প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারিকে দেওয়া হয়। পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে সেই অ্যাথলিট সগর্বে সেই পদক দেখান।
কেউ একটি পদক জেতেন, আবার কেউ একাধিক পদক জেতেন। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন ধাতু দিয়ে গড়া এই পদকের দাম কত? বা সোনার পদকে কতটা সোনা থাকে?
সাধারণত সকলেই ভেবে থাকেন সোনার পদক পুরটাই সোনা দিয়ে তৈরি। একইরকম ভাবে রূপো ও ব্রোঞ্জের ক্ষেত্রেও তাই। কিন্তু সত্যিটা তা নয়।
১৮৯৬ সালের অলিম্পিক্সে সোনার পদক ছিল না। তখন দেওয়া হয় রুপোর পদক। কারণ তখন সোনার থেকে রুপোর দাম বেশি ছিল।
১৯০৮ সালে লন্ডন অলিম্পিক্সে প্রথমবার প্রথম পুরষ্কার হিসেবে সোনার পদকের আত্মপ্রকাশ ঘটানোর হয়। এরপর দ্বিতীয় স্থানে চলে আসে রুপো ও তৃতীয় স্থানে ব্রোঞ্জ।
অলিম্পিক্সের ইতিহাসে ১৯১২ সালটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই বছরেই শেষবার পুরো সোনা দিয়ে তৈরি পদক অ্যাথলিটদের দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকে আর সেটা হয়নি।
বাস্তব সত্য এটাই। একটি পদক পুরো সেই ধাতু দিয়ে তৈরি করা হয় না কারণ এতে অনেক খরচ হয় এবং ক্রমে বাড়তে থাকা প্রতিযোগী ও খেলার সংখ্যার সাথে এই খরচ আরও বেড়ে যায় ।
তাই নিয়ম করা হয় পুরো একটা ধাতুতে গড়া হবে না পদক। নিয়ম অনুযায়ী, একটি সোনার পদকে থাকে মাত্র ৬ গ্রাম সোনা ও সেটিতে ৯২.৫% রুপো থাকে।
অর্থাৎ একটি সোনার পদকে ১.৪৫% সোনা, ৬% ব্রোঞ্জ ও ৯২.৫% রুপো থাকে। তবে পদকের আকার একই থাকে। তবে রুপোর পদক তৈরি হয় রুপো ও ব্রোঞ্জ দিয়ে। ও ব্রোঞ্জের পদক তৈরি হয় ব্রোঞ্জ দিয়ে।