পদ্মা সেতু হল বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ সেতু যা নির্মাণে ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় করা হয়েছে। এই পরিমাণ টাকা সেতু কর্তৃপক্ষকে অর্থ মন্ত্রণালয় দ্বারা ঋণ দেওয়া হয়েছিল।  

সেতু কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশ অর্থ মন্ত্রণালয় দ্বারা দেওয়া এই ঋণ ১ শতাংশ সুদ সহ পরিশোধ করতে হবে। এ ঋণ তিন মাস পরপর মোট ১৩৬ কিস্তিতে পরিশোধ করা হবে।

এছাড়া সেতু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করা হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী পাঁচ বছরে ৬০০ কোটি টাকার বেশি পরিশোধ করতে হবে তাদের।

প্রকল্প পরিচালক মো: শফিকুল ইসলামের মতে , টোল থেকে আসা অর্থ এইসব খরচ মেটাতে  এবং আরও বেশ কিছু খাতে খরচ করা হবে।

পদ্মা সেতু রক্ষণাবেক্ষণের পেছনে টোল থেকে আয়ের সাত শতাংশের বেশি ব্যয় হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

এছাড়া প্রতি ১০ বছর পরপর সেতুতে মেরামতের দরকার হতে পারে, এর জন্য মোট আয়কৃত অর্থের একটি নির্দিষ্ট অংশ গচ্ছিত রাখা হবে।

গত একমাসে  ৭৪ কোটি ২৬ লাখ ৬৩ হাজার ১৫০ টাকা টোল হিসেবে আয় হয়েছে, যার ১৫ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট হিসেবে যাবে সরকারি কোষাগারে।

সব খরচ মেটানোর পর যে অর্থ উদ্ধৃত্ত থাকবে সে অর্থ জমা থাকবে সেতু কর্তৃপক্ষের কাছে, যার ওপর আয়কর দিতে হবে কর্তৃপক্ষকে।

পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক বলেন, এক মাসে পদ্মা সেতু থেকে আদায় হওয়া টোলের যে পরিমাণ তাতে কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট।

সেতু কর্তৃপক্ষের মতে আগামী ২৫ থেকে ২৬ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে টোলের আয় থেকে পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় তুলে আনা সম্ভব হবে।