ওড়িশার পুরীর রথের সাথে পশ্চিমবঙ্গেরও বেশ কিছু জায়গায় খুবই ধুমধাম করে রথ যাত্রা পাওন করা হয়, জনপ্রিয়তায় কোনো অংশে কম নয় সেগুলো।
বিখ্যাত রথযাত্রা দেখতে এবং অংশগ্রহণ করতে অনেকেই পুরী যান। কিন্তু জানেন কি পশ্চিমবঙ্গেই রয়েছে এমন কয়েকটি রথযাত্রা, যা জনপ্রিয়তার নিরিখে কোনও অংশে কম নয়।
এবছর রথযাত্রা উপলক্ষে বিখ্যাত বালি শিল্পী সুদর্শন পট্টনায়েক পুরীর সৈকতে ১২৫ টি বালির রথ তৈরি করে লিমকা বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়েন।
মাহেশের রথযাত্রা: পশ্চিমবঙ্গের সবেচেয়ে বিখ্যাত রথযাত্রার মধ্যে অন্যতম হল মাহেশের রথ। প্রায় ১৩০০ খ্রিষ্টাব্দের কাছাকাছি ধ্রুবনন্দ ব্রহ্মচারী এই রথযাত্রার সূচনা করেন।
মহিষাদল: পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের রথযাত্রা প্রায় ২০০ বছরের পুরনো। ১৭৭৬ সালে এখানকার জমিদার আনন্দলালের স্ত্রী জানকী এই রথযাত্রার সূচনা করেছিলেন।
মায়াপুর: পশ্চিমবঙ্গের আর এক বিখ্যাত রথযাত্রা এটি। তবে মায়াপুরের মন্দির থেকে রথ বার করা হয় না। বলরাম, জগন্নাথ এবং সুভদ্রা আসেন এই মন্দিরে। তাঁরা আসেন রথে চড়ে।
গুপ্তিপাড়া: ১৭৪০ সালে মধুসূদানন্দ গুপ্তিপাড়াতে এই উত্সব শুরু করেন । ৪০ কুইন্টাল খাবার লুঠ করার প্রথা রয়েছে এখানে। এই রথের উচ্চতা হয় ৩৬ ফুট।
আমাদপুর: বর্ধমানের মেমারি অঞ্চলেরএই গ্রামে রথযাত্রা পালন করা হয় ধুমধাম করে। গ্রামের জমিদার পরিবারের দেবতা হলেন রাধামাধব। সেই রাধামাধবকে নিয়ে হয় রথযাত্রা।
রাজবলহাট: হুগলির রাজবলহাটের রথযাত্রা খুব বিখ্যাত। আমাদপুরের মতোই এখানেও রথে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা থাকেন না। এই রথে থাকেন এলাকার বিখ্যাত মন্দিরের পূজ্য দেবতা রাধাকৃষ্ণ।