পামবান সেতু, তামিলনাড়ুর পামবান দ্বীপকে বা রামেশ্বরম দ্বীপ-কে ভারতের মূল ভূখণ্ডের সাথে সংযুক্ত করে।
পর্যটকদের পাশাপাশি, সমুদ্রের উপর সেতুটি সেই ভক্তদের জন্য তৈরি হচ্ছে যারা রামেশ্বরম মন্দির এবং ধানুশকোডিতে তীর্থযাত্রা করতে চান ৷
সেতুটির বয়স ১০০ বছরের কিছু বেশি। এটি ভারতের দ্বিতীয় দীর্ঘতম সমুদ্র সেতু। সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য ২ কিলোমিটার।
সেতুটির ৬৭০০ ফুটের কাঠামোটি ব্রিটিশরা ১৯১৪ সালে শ্রীলঙ্কার সাথে বাণিজ্যক সম্পর্ক জোরদার করার জন্য তৈরি করেছিল।
সেতুটি একটি একক-লাইন, নন-ইলেকট্রিফাইড সেকশন যার উপর দিয়ে একটি ট্রেন সর্বোচ্চ ১০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে চলতে পারে।
প্রায় ৫৬০ কোটি ব্যয়ে নির্মিত, নতুন পামবান সেতুটি এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন সেতুটি পুরানো সেতুর চেয়ে ৩ মিটার উঁচু হবে। নতুন সেতুতে ৮০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে চালানো যাবে ট্রেন।
নতুন সেতুটি হবে ভারতের প্রথম ভার্টিক্যাল লিফট সামুদ্রিক সেতু যা দিয়ে বড় বড় জাহাজ চলাচল করতে পারবে। নতুন সেতুর ভার্টিকাল লিফট অংশটির দৈর্ঘ্য ২২ মিটার।
নতুন পামবান সেতুর ইনচার্জ এবং ডিভিশনাল জেনারেল হৃদয়েশ কুমার বলেন, বর্তমান সেতুর কাঠামোর মোট দৈর্ঘ্য ২০৫৮ মিটার যার মধ্যে ১৪৬টি স্টিলের গার্ডার রয়েছে।
এখানে ১২.২০ মিটারের ১৪৫টি স্প্যান এবং একটি নেভিগেশনাল স্প্যান রয়েছে। ৬১মি. ন্যাভিগেশনাল স্প্যানটি শেরজার রোলিং লিফট স্প্যান নামে পরিচিত।