সম্প্রতি আর-রুব-আল-খালি (Rub’ al Khali) মরভূমিতে বিরাট এক বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেছে সৌদি প্রশাসন (Saudi Administration)। 

মরভূমির মধ্যে ৭৫ মাইল লম্বা এলাকা জুড়ে তৈরি হচ্ছে এই বিল্ডিং। বিশালাকার এই ইমারতে থাকতে পারবেন অন্তত ৫০ লক্ষ মানুষ। এই ইমারতের নাম দেওয়া হয়েছে মিরর লাইন।

 সৌদি প্রশাসন সূত্রে দাবি, বিভিন্ন পেশার মানুষকে এখানে রাখা হবে। এদের মধ্যে থাকবেন কৃষকরাও। তাঁদের জন্যে ভার্টিক্যাল ফার্মিংয়ের (Vertical Farming) ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।

 বিল্ডিয়ের নীচে চলবে ভূগর্ভস্থ ট্রেন (Tube Rail)। যাতে করে দেশের অন্যান্য শহরের সঙ্গে যাতায়াত করতে পারবেন এখানকার বাসিন্দারা। গোটা প্রকল্পের জন্য খরচ করা হবে ১ লক্ষ কোটি টাকা। 

 মধ্য এশিয়ার এই আর-রুব-আল-খালি মরভূমি হল বিশ্বের দ্বিতীয় উষ্ণতম মরভূমি। ফলে এখানে বিশালাকার ইমারত নির্মাণ সহজ নয়। 

মার্কিন সংবাদ সংস্থা ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’ এর দাবি, নির্মাণ কাজের জলের সমস্যা মেটাতে দেশের একাধিক শহর থেকে পাইপে করে প্রকল্প এলাকা পর্যন্ত জল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। 

এই প্রকল্প শেষ হলে লোহিত সাগরের (Red Sea) তীরে গড়ে উঠেবে নতুন এক শহর। যার আয়তন হবে ম্যাসাচুসেটসের (Massachusetts) থেকে কয়েক গুণ বড়।

২০৩০ সালের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার লক্ষ্য রেখেছেন সৌদির যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন (Mohammed bin Salman)। 

তবেইঞ্জিনিয়রদের মতে এই প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ শেষে হতে প্রায় ৫০ বছর লেগে যাবে । অতএব ১ লক্ষ কোটির বাড়িতে থাকতে আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে ।

মরভূমিতে বাড়ি নির্মানে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার  আরব দেশ সহ পশ্চিমী দুনিয়ার মানুষকেও তাক লাগিয়ে দেবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।