অবশেষে নির্মিত হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর, তাজপুর বন্দর।

By Srikanto Mandal 25 October, 2022

বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বন্দর হল কলকাতা এবং হলদিয়া। কিন্তু হুগলি নদীর নাবত্য কমে যাওয়ার জন্য সমুদ্রগামী বড় বড় জাহাজ কলকাতা ও হলদিয়া বন্দরে নোঙর করা অসম্ভব হয়ে পড়ছে। 

বড় বড় জাহাজ  ল্যান্ড করতে না পারার কারণে রাজ্যের শিল্পে গতি কমছে। এই কারণে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৬ সালে প্রথম তাজপুর বন্দর তৈরি করার কথা ঘোষণা করেন।

গভীর সমুদ্র বন্দরের অভাবে আসানসোল-দুর্গাপুর সংলগ্ন শিল্পা অঞ্চলের পণ্য-দ্রব্য আমদানি ও রপ্তানির জন্য ওড়িশার পারাদ্বীপ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

তাজপুর বন্দর হল পশ্চিমবঙ্গেরর পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তাজপুরের নিকট বঙ্গোপসাগরের উপকূলে প্রস্তাবিত গভীর সমুদ্র বন্দর।

পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাজপুর বন্দর নির্মাণের দায়িত্ব দেন আদানি গোষ্ঠী কে। অনুমানিক ২৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে বন্দরটি। 

তাজপুর বন্দর নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে এটিই হবে পশ্চিমবঙ্গের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর। জোয়ারের সময়ে এই বন্দরের গভীরতা হবে প্রায় ১৬ মিটার। 

 প্রস্তাবিত বন্দরটি ১,০০,০০০ টন পণ্যবাহী জাহাজ প্রবেশ করতে পারবে। জাতীয় সড়ক ১১৬বি থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে এই গভীর সমুদ্র বন্দরটি গড়ে উঠবে। 

তাজপুরে সমুদ্রের তীরে ১২৫ একর জমিতে বন্দর গড়ে উঠবে। সেখান থেকে ৪ কিমি দূরে বন্দর-সংযুক্ত শিল্প গড়ার জন্য আরও ১,০০০ একর জমি নির্মাতা সংস্থাকে দেওয়া হবে।

পশ্চিমবঙ্গের তাজপুরের বন্দরটি ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা এবং ছত্তিশগড়ের খনির অঞ্চলগুলির কাছাকাছি অবস্থিত, যা সেই রাজ্যগুলির লোহা ও ইস্পাত শিল্পগুলিকে ব্যাপকভাবে উপকৃত করবে৷