সম্প্রতি, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) মাধ্যমে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে নতুন ১৯,৩৬৯ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।
তিনি জানিয়েছেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করতে এসএসসি-র বিধিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসছে। সেটা আইন বিভাগে পাঠিয়ে অনুমোদন নেওয়া হবে।
শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আর থাকছে না অ্যাকাডেমিক নম্বর, দুই ধাপে পরীক্ষা হবে, ফিরছে ইন্টারভিউ। পরীক্ষা নেওয়া হবে ওএমআর শিটে।
OMR অর্থাৎ মাল্টিপল চয়েস কোয়েশ্চেনসে (এমসিকিউ) পরীক্ষা হবে। পরীক্ষার শেষে চাকরিপ্রার্থীরা ওএমআর শিটের নন-কার্বন ডুপ্লিকেট কপি পাবেন।
নন-কার্বন ডুপ্লিকেট কপি তাঁরা বাড়িও নিয়ে যেতে পারবেন। অ্যাকাডেমিক ক্ষেত্রে নম্বর বরাদ্দের বিষয়টি তুলে দেওয়ার প্রস্তাব উঠেছে।
প্রশ্নের উত্তর নিয়ে বছরের পর বছর আদালতে মামলার জেরে নিয়োগ প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে। সে জন্যেই মডেল অ্যানসার-কি আপলোড করা হবে।
স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে সাধারণ প্রার্থীরা ২৩-২৫ বছর থেকে ৪০ বছর বয়স অবধি এসএসসি-র পরীক্ষা দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ১৫ বছরে মাধ্যমিক থেকে ...
স্নাতকোত্তরে নম্বর দেওয়ায় আমূল বদল এসেছে। ফলে এসএসসি-র লিখিত পরীক্ষায় যোগ্য প্রার্থীরা অনেক সময়ে অ্যাকাডেমিক স্কোরিংয়ে পিছিয়ে পড়ছেন।
স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের দু'টি পরীক্ষা (প্রিলিমিনারি-বিষয়ভিত্তিক) ওএমআর শিটে নেওয়ার কারণ, খাতায় মূল্যায়নে তারতম্য হয়, এমসিকিউ পদ্ধতিতে তা হবে না।
ইন্টারভিউ ফিরিয়ে আনার কারণ, চাকরিপ্রার্থীরা ক্লাসে পড়ানোয় কতটা সক্ষম, সেটাও সরাসরি যাচাইয়ের সুযোগ থাকবে।
যদিও এসএসসি-র এই সব বদলের ভাবনা চূড়ান্ত নয়। আইন দপ্তর তা খতিয়ে দেখে সিলমোহর দিলে তবেই তা নিয়োগের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত হবে।