দীর্ঘ ১১ বছর ধরে ধীরে ধীরে গড়ে ওঠা বাংলাদেশের স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে গত ২৫ জুলাই থেকেই যানবাহন চলাচল শুরু হয়ে গেছে। 

কিভাবে এই সেতু তৈরি করা হয়েছে সেই ব্যাপারে আমরা সকলেই জানি। বাংলাদেশের বুকে এমন একটি জমকালো সেতু এই প্রথম তৈরি করা হলো।

কিন্তু এই সেতু আঁকাবাঁকা ভাবে তৈরি করা হয়েছে  কেন? এমন প্রশ্ন অনেকেই মনেই বারবার উঁকি দিয়েছে। সরলরেখার মত সোজা হলে কি সমস্যা হত? 

এর পেছনে কি কোন বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে নাকি রয়েছে অন্য কোন কারণ, চলুন এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর আজকে খুঁজে নেওয়া যাক।

পদ্মা সেতু খুব বড় না হলেও, পদ্মা নদীর উপরের অংশের এর দৈর্ঘ্য হল ৬.১৫ কিলোমিটার লম্বা। তবে প্রথম থেকে যদি ধরা যায় তাহলে এই সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ১৪ কিলোমিটার। 

বাংলাদেশের মুন্সিগঞ্জ এলাকার মাওয়া থেকে শুরু করে শরীয়তপুরের জাজিরা পর্যন্ত দীর্ঘ এই সেতু। এত বড় সেতু চাইলেই কিন্তু সোজা করে তৈরি করা যেত কিন্তু কেন আঁকা বাঁকা ভাবে তৈরি করা হলো 

সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, অনেকেই হয়তো ভাবেন যে সেতুটিকে সুন্দর করার জন্য এইভাবে আঁকাবাঁকা ভাবে তৈরি করা হয়েছে কিন্তু একেবারেই তা নয়।

এমনকি বিদেশেও প্রত্যেকটি বড় বড় সেতু এইভাবে আঁকাবাঁকা ভাবে তৈরি করা হয়েছে এর অন্যতম কারণ দুর্ঘটনা এড়িয়ে যাওয়া।

কোন সেতু যদি একেবারে সোজা তৈরি করা হয় তাহলে সেই সেতুতে খুব স্পিডে গাড়ি চলাচল করবে এবং খুব সহজে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

সেতু নির্মাণের পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, অনেক সময় সেতুর দৈর্ঘ্য বেশি হওয়ায় চালকরা স্টিয়ারিং থেকে হাত সরিয়ে ফেলেন ফলে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। 

কিন্তু সেতু যদি আঁকাবাঁকা বেগে তৈরি করা হয় সেক্ষেত্রে চালকরা অনেক সতর্ক থাকেন এবং দুর্ঘটনা অনেকটাই কমে যায়। আর ঠিক এই কারণে সেতুকে বিদেশের সেতুর মতো এঁকেবেঁকে তৈরি করা হয়েছে।