দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলীয় জনবসতির জন্য তৈরি হচ্ছে বিশ্বের প্রথম ভাসমান শহর। 

২০২৩ সাল নাগাদ নির্মাণের কাজ শুরু হবে এই ভাসমান শহরের।

বিশ্বের প্রথম ভাসমান শহরের প্রোটোটাইপ যা সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে মানিয়ে নিতে পারে তা সবেমাত্র নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে উন্মোচন করা হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলীয় শহরগুলির জন্য OCEANIX Busan এই যুগান্তকারী প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন।OCEANIX হল নিউইয়র্কের একটি blue tech company.

দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলীয় অংশে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বসবাসকারী জমির অভাব দেখা দেওয়াতে এই প্রযুক্তি প্রয়োগ করার কথা ভাবা হচ্ছে।

আপাতত মোট ১৫.৫ একর জায়গা নিয়ে সম্পূর্ণ ভাসমান শহরটি নির্মাণের কথা ভাবা হচ্ছে। নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে এতে কমপক্ষে ১২০০০ লোক বসবাস করতে পারবে।

বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের জল স্তরের উচ্চতা বৃদ্ধির ক্রমবর্ধমান সমস্যার জন্য এই ভাসমান শহর অনেকগুলি সমাধানের মধ্যে একটি।

রিপোর্ট অনুযায়ী ২০৫০ সালের মধ্যে ৫৭০টি শহরে বসবাসকারী মোট ৮০০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি জনিত বিপদের সম্মুখিন হতে পারে।

সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি জনিত বিপদ কাটাতে এবং অভ্যন্তরীণ বন্যার ব্যয় মধ্য শতাব্দীর মধ্যে $1 ট্রিলিয়ন পর্যন্ত পৌঁছতে পারে।

তবে আশা করা যায়, এই টেকসই ভাসমান শহরের প্রোটোটাইপ ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় মানুষদের জন্য নিরাপদ আবাসন প্রদানের সুবিধা দিতে পারে।

ভবিষ্যতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে মালদ্বীপ ইতিমধ্যে একটি ভাসমান শহর তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে। 

এই সমস্ত ভাসমান শহর তদের বিদ্যুৎ শক্তির চাহিদা মেটাবে বিপুল সংখ্যক ফটো ভোলটিক সোলার প্যানেলের মাধ্যমে।